Skip to main content

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনার ক্যারিয়া গড়ুন?


গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে কি?

আমাকে যদি প্রশ্ন করেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে কি? তাহলে আমি আগে বলব এমন কিছু কি আছে যাতে গ্রাফিক্স ডিজাইন নেই?! সব কিছুতে‌ই কোন না কোন একটা  ডিজাইন আছে, পৃথিবী-পৃথিবীর বাইরে সব কিছুতেই একটা ডিজাইন আছে। তা প্রাকৃতিকভাবে হোক বা কৃতিমভাবে। আপনি হয়ত তা দেখার চেষ্টা করছেন না বা খেয়াল করছেন না। একটু খুজে দেখুন কোন জিনিসটায় ডিজাইন নেই!
এক কথায় যা কিছু ডিজাইনড সবই গ্রাফিক্স ডিজাইন‍ ।

বিখ্যাত ডিজাইনার Neville Brody এর মতে”ডিজাইন প্রয়োজনসমূহ, তথ্য এবং কালারের এমন একটি সংশ্লেষন যা এর অংশসমূহের সমষ্টির থেকেও বেশি কিছু তৈরি করে” (তার এই সংজ্ঞার জন্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরুষ্কারও পাইছেন…আমি বাংলায় হয়তো ঠিক ভাবটা প্রকাশ করতে পারিনি তবে তিনি এই সংজ্ঞায় অনেক কিছু বোঝাতে চেষ্টা করেছেন)
উপরের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষন করলে যা পাই তা হল… গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে আপনার মনের ভাব, কিছু প্রয়োজন, তথ্য ও কালারের সমন্বয়ে আর্ট ও টেকনোলজীর সাহায্যে উপস্থাপন করতে পারবেন।
উপরের সংজ্ঞাগুলোয় আসলে টেকনিক্যাল দিকগুলো ফুটে ওঠে যা হয়তো কারো কারো কাছে বুঝতে কঠিন হতে পার…
আরওএকটু সহজ করে দিই..Nothing is better than example…
আপনি হয়তো লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ইন্টেরিওর-এক্সটেরিওর ডিজাইনের কথা শুনে থাকবেন
একটা লোগোতে একটা কোম্পানীর বিষয়বস্তু/নাম/বর্ননা/কাজ ইত্যাদি ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়একটা বিজনেস কার্ডে ডিজাইনের মাধ্যমে একজন বিজনেসম্যান এর বিভিন্ন তথ্যগুলো দেওয়া হয়একটা ইন্টেরিওর বা এক্সটেরিওর ডিজাইনে একটা বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন করা হয়
এরকম উদাহরন আরও দেয়া যায়..আস্তে আস্তে পাবেন এগুলো সবই গ্রাফিক্স ডিজাইন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন?
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সংজ্ঞাই যেহেতু মৌলিকভাবে দেয়া যাচ্ছে না অর্থাত নির্দিষ্ট করে দেয়া যাচ্ছে না, আপনার এ প্রশ্নের উত্তরও নির্দিষ্ট করে দিতে হিমশিম খেতে হয়!
উপরের কথাগুলো বিশ্লেষন করলেই আপনি হয়ত আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। আবারও বলছি আপনার আশেপাশের বস্তুগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করুন দেখুন তাতে একটি ডিজাইন আছে এবং তা একটি অর্থও প্রকাশ করছে এবং তার একটি প্রয়োজনও আছে।মূলত এ বিষয়গুলোর জন্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন।
সৃষ্টির শুরু থেকেই সবকিছুতে ডিজাইন ছিল..ডিজাইন হচ্ছে.. ডিজাইন হবে
মানুষের হাতে ডিজাইন করা শুরু হয় আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে থেকে। তবে নিদর্শন হিসেবে বিভিন্ন গুহায় যে প্রমান পাওয়া যায় তাতে বলতে হয় এর শুরু অনেক আগে থেকেই। আর এটা শুরু হইছে মানুষের প্রয়োজনেই। খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ বছর আগের একটি নিদর্শন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে যেটিই মানুষের হাতে সবচেয়ে আগের জটিল ডিজাইন বলে ধারনা করা হয়(পিকচার দিতে পারছি না বলে দু:খিত…আমার কাছে এর একটি পিকচার আছে )
সেখান থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অনেক বছর চলে গেছে। আজ পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখুন আর সেদিনের কথা একবার চিন্তা করুন অনেক কিছু ডিজাইন করা হইছে..অনেক নতুনত্বের সৃষ্টি হইছে…সুন্দর থেকে সুন্দরতর! সবই মানুষের প্রয়োজনে। আগে করা হত মাটিতে, পাতায়, খাতায় আর এখন করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে আরও সুন্দর করে
এত বকবক করার মূল কারন হল..শুধু এটুকই বলতে চাই গ্রাফিক্স ডিজাইন/ডিজাইন মূলত মানুষের প্রয়োজনেই তা মনের খোরাক মেটানোর জন্য হোক বা পেশা হোক বা ব্যবসায়িক কারন হোক মূলত মানুষের প্রয়োজনেই ডিজাইন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শুরু করবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে একটা কথা বলে নিতে চাই…মানুষ জন্মের সময় কিছু নিয়ে আসে না সবই তাকে অর্জন করে নিতে হয়…
আপনি কিছু জানেন না..মনে করুন আপনার এখন জন্ম হইছে…
আপনিও আপনার অর্জন করার যাত্রা শুরু করুন, মন দিয়ে চেষ্টা করুন অবশ্যই সফল হবেন।

Comments

Popular posts from this blog

কোন ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে জেনে নিন তাতে ভাইরাস আছে কিনা?

কোন ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে জেনে নিন তাতে ভাইরাস আছে কিনা? পোষ্ট টি করেছেন: এস. ডি সাগর ইন্টারনেট এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে । ইন্টারনেটের মাধ্র্যমে আমার এখন অনেক কিছু খুব সহজে্েই পেয়ে ‍যাই ।আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অনেক  সাইটে ভিজিট করতে হয় । এটা কিন্তু অনেকেরই অজানা যে একটা ওয়েবসাইটে ও অনেক ভাইরাস থাকে । যার মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে । তাই আমি আপনাদের বলছি যে, যে কোন  সাইট ভিজিট করার আগে চেক করে নিন ঐ সাইটে ভাইরাস আছে কি না । এই www.urlvoid.com সাইটটি ভিজিট করে যেকোনো ওয়েবসাইটে ভাইরাস আছে কিনা তা জানতে পারবেন । এজন্য প্রথমে http://www.urlvoid.com এই সাইট এ ঢুকুন । যে ওয়েবসাইটের ভাইরাস চেক করতে চান সেই সাইটের লিংক বা url দিয়ে Scan করে দেখুন ।

লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে অনলাইন থেকে আয় করুন

অনলাইন থেকে আয় করা যায় এটা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট চালান। কিন্তু কথা হচ্ছে কিভাবে আয় করা ‍যায়? কত টাকা আয় করা যায়? এটা কেউ আসলে কেউ অতটা গুরুত্ব দেইনা। অনেকেই ভাবেন অনলাইন আয় আসলে ভুয়া। টাকা মার চলে যায়। এরকম ধারনা যাদের,এটা মোটেও সত্যি নয়। আসলেই অনলাইন থেকে থেকে টাকা আয় করা যায়। আমাদের দেশের অনেকেই অনলাইন থেকে টাকা আয় করে। তবে ভুয়া কোম্পানী যে তা নয়। তবে আপনাকে কাজ করার অবশ্যই সেই মার্কেট প্লেস টার  সম্পর্কে জানতে হবে। আমি যেই যেই মার্কেট প্লেস টার কাজ করি সব গুলোই Trusted কোম্পানী। যেমন: বর্তমান বিশ্বের 1নং মার্কেটপ্লেস হল আপওয়াক (যার পূর্বের নাম ওডেস্ক), ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার,  ইলেঞ্চ, গেটএগোটার ইত্যাদি সাইট আছে। এখানে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবে যাওয়‍ার কোন ভয় নেই। এই সাইটগুলোতে বাংলাদেশের অসংখ্য লোক কাজ করে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। তবে আমি মূলত আপওয়ার্কেই কাজ করি। কিভাবে আয় করবেন? অনলাইন আয় করার অনেক মাধ্যম রযেছে। সব থেকে ভাল আয়ের পথ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সীং করা। এই কাজের কোন বাধ্যতামুলক বলে কিছু  নেই । আপনি  এখানে যেটুকুই কাজ ক...

ওয়েব ডিজাইন শিখুন অনলাইন আয় করুন

অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে উপার্জনের যতগুলো উপায় রয়েছে , তার মধ্যে ওয়েব সাইট ডিজাইন সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ  ও বেশি আয়ের মাধ্যম । বিশ্বের ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , ব্যক্তিগত , সামাজিক প্রায় সকলেই ক্রমশঃ ইন্টারনেটের দিকে ঝুকেঁ পড়ছে । যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন , তারা সকলেই চায় তার নিজের নামে একটি ভার্চুয়াল ঠিকানা থাকুক । সে জন্য ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ কারণে , ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে যত ধরনের কাজ রয়েছে , তার মধ্যে ওয়েব সাইট ডিজাইন ও ডেভলপমেন্টের কাজই অনেক বেশি । একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার/ডেভলপারের কাজের ক্ষেত্র অনলাইনে এতটাই বিস্তৃত যে , ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজেটের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে , ব্লগিং করে উপার্জন করতে পারে , বিভিন্ন অনলাইন শপিং মার্কেটে নিজের তৈরিকৃত ডিজাইন জমা দিয়ে উপার্জন করতে পারে । এ ধরনের বহুমূখী উপার্জনের রাস্তা খুলে যায় একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার/ডেভলপারের জন্য । শুধুমাত্র স্ট্যাটিক ওয়েব সাইট তৈরি জানলেই অনলাইনে মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার উপার্জন সম্ভব । শর্ত হচ্ছে, আপনার সাইট তৈরির দক্ষতা যেন হয় প্রফ...